বিরামপুরে মুখি কচুর ভালো ফলন, ন্যায্য দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে মুখি কচুর ভালো ফলন হয়েছে। নায্য দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। আর বাজারে পর্যাপ্ত মুখি কচুর সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারাও খুশি।
রোববার সকালে বিরামপুর নতুন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের মোকাম থেকে পাঁচ-ছয়টি ট্রাকে করে মুখি কচু ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিমণ মুখি কচু আকার ভেদে দাম ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে। এতে উপজেলার কৃষকেরা ন্যায্যদাম পাচ্ছেন।
বাজারে মুখি কচুর সরবরাহের বিষয়ে বিরামপুর নতুন বাজারের ব্যবসায়ী বাবলু মন্ডল বলেন, ‘এবার উপজেলায় মুখি কচুর ফলন ভালো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এই বেশি পরিমাণে মুখি কচুর আমদানি হচ্ছে।’
মুখি কচুর কেনার কাজে ব্যস্ত থাকা নতুন বাজারের ব্যবসায়ী মেনহাজুল, আসাদুজ্জামান,বাবলুসহ অনেকে বলেন, মুখি কচুর আমদানি ভালো হওয়ায় কচু রপ্তানিতে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলার মুুকুন্দপুর গ্রামের কচু চাষি ফজলু মিয়া বলেন, ‘এবার মোকামে কচুর সর্বোচ্চ দাম পাওয়ায় যাচ্ছে। ফলন ভালো হওয়ায় অনেক লাভ হচ্ছে।’
ভেলারপাড় গ্রামের কৃষক হেলাল বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে বারি মুখি কচু-১ চাষ করি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে এবার ন্যায্য দাম পাচ্ছি। এলাকায় মুখি কচুর আবাদ বেড়েছে।’
মুখি কচুর আবাদে ঝামেলা কম ও বেশি লাভ হওয়ার কথা জানান বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কোমল কৃষ্ণ রায়। তিনি বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলায় ১৮৩ হেক্টর জমিতে কচু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।’
এ উপজেলায় বেশিরভাগ কৃষক বারি মুখি কচু-১ ও মালশিরা জাতের কচু আবাদে ফলন ভালো পাওয়ায় ভবিষ্যতে এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা কামল কৃষ্ণ রায়।