বিরামপুরের আদিবাসী নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করল পুলিশ
আবু বকর সিদ্দিক, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে আদিবাসী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কালি শহরের শ্বাশন ঘাটের পাশে সন্দোলপুর ফরেষ্ট এলাকায় কাচা রাস্তার পাশে ধান ক্ষেত থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিরামপুর থানার উপ পুলিশ পরির্দশক মুমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার দলদলিয়া গ্রামের সুরেন পাহানের স্ত্রী চৈতি পাহান (৩৫ ) কে গতকাল শুক্রবার কে বা কাহারা হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় । বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে লাশটি উদ্ধার করেছে ।
নিহত চৈতি পাহানের স্বামী সুরেন পাহান জানান, তার স্ত্রী চৈতি পাহান দুই সন্তানের জননী। গত এক বছর যাবত পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী লাভলী অটো জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করতো। সাত দিন ফুলবাড়ী জুট মিলে কাজ করার পর প্রতি শুক্রবারে সে বাড়িতে আসতো ও পরিবারের দেখাশোনা করত। গতৃকাল শুক্রবারে থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত তার স্ত্রী অনুপস্থিত। জুট মিলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী সেখানে নেই। আজ দুপুরে কে বা কাহারা তার স্ত্রীকে হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখেছ হত্যার ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে তার স্ত্রীর লাশ সনাক্ত করেন বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান মুঠোফোনে জানান, আদিবাসী চৈতি পাহান সুরেন পাহানের স্ত্রী। সে দলদলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। কে বা কাহারা তাকে হত্যা করে ফরেস্ট এলাকার ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে ।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, দিনাজপুর এডিশনাল এসপি (ক্রাইম), বিরামপুর সার্কেল এর এএসপি (পিবিআই ) দিনাজপুর পরিদর্শ সহ পুলিশের উদ্ধতম কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চৈতি পাহান লাশ উদ্ধার করে সূরাতহালের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিরামপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সুত্রে জানা যায়।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান দৈনিক কালবেলাকে কে জানান, ভিকটিমের লাশ এবং পরনের কাপড় চোপড় সূরাতহাল রেকর্ড এর জন্য বিরামপুর থানা পুলিশকে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। ভিকটিম চৈতি পাহানের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হচ্ছে।