ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের দেখা মিলছে না। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। এতে করে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা কার্যক্রমও। মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের আত্মগোপনে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলার পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের পরিষদের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। আত্মগোপনে যাওয়া প্রতিনিধিরা হলেন, কাটলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী, তিনি কাটলা ইউনিয়নের আ.লীগের ইউনিয়ন সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন।
কাটলা ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের দায়িত্বে থাকা ইলিয়াস আলী বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। তাকে ফোন করে বা সরাসরি তার বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যাচেছ না। এদিকে প্রতিদিন বিভিন্ন সেবা নিতে আসা স্থানীয় নাগরিকরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
৩নং খাঁনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও ৫ আগস্টে পর থেকে লাপাত্তা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান দিনাজপুর ৬ আসনে এমপি শিবলী সাদিকের সমর্থক ছিলেন। ওই ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের দায়িত্বে থাকা বদিউজ্জামান বলেন, ৫ আগস্টে পর থেকে একদিনও চেয়ারম্যান অফিস করেননি।
অন্যদিকে পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও অফিসে আসেন না ৫ আগস্টে পর থেকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তাঁর ব্যবহৃত ফোন নাম্বার খোলা থাকলে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রহমত আলী উপজেলা আ. লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
তবে পৌরসভার মেয়র নিজ বাড়ি থেকে অফিসের কাজ কর্ম করছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর কর্মকর্তা। বিরামপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলীও দিনাজপুর ৬ আসনে এমপি শিবলী সাদিকের সমর্থক ছিলেন।
মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী জানান, আমি ভয়ে, আতঙ্কে অফিসে যাচ্ছি না। অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে বাসা থেকে স্বাক্ষর করে দিচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিয়মিত অফিস করবো।