শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - (English Version)

আবারও চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে দাম কমেছে সবজি, ডিম, মুরগি ও পেঁয়াজের

ঢাকা অফিসঃ

[২] চালের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। গত এক মাসে চালের দাম দুই দফা বাড়লো। এক সপ্তাহের মধ্যে পাইকারি বাজারে মোটা ও চিকন চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

[৩] বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট মোজাম্মেল ছিলো ৭৫ টাকা। এখন বিক্রি হয় ৭৮ টাকা, মিনিকেট রশিদ ছিলো ৭০ টাকা, এখন বিক্রি হয় ৭২ টাকা। মোটা চালের (স্বর্ণা) দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা; যা এখন ৫২ থেকে ৫৪ টাকা বিক্রি হয়। সাকি ২৮- আগে ছিলো ৫৮ টাকা। এখন বিক্রি হয় ৬০ টাকা।

[৪] বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। কাঁচামরিচের কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। যা ৪ দিন আগেও ছিলো ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। বেগুন কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, উস্তে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা এবং গাজর ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ১০ দিন আগেও অধিকাংশ সবজির কেজি ছিলো ৭০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। [৫] ব্রয়লারের কেজি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা যা দুইদিন আগেও ছিলো ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালির কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লাল ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা তিনদিন আগেও ছিলো ১৬০ টাকা। আবার কোথাও ১৬৫ টাকা বিক্রি হয়েছিলো। কারফিউর মধ্যে ১৮০ টাকা উঠেছিলো ডিমের ডজন।

[৬] বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।

[৭] দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। যা তিনদিন আগেও ছিলো ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। আলুর কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি ও রসুন ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

[৮] ভাটারা নুরেরচালা মতিন স্টোরের মালিক মো. মতিন বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আমাদের আগের চাল আনা ছিলো তাই আগের দামেই বিক্রি করছি। এখন কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ডিম ডজনে ১০ টাকা ও পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমেছে।

[৯] চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ধান বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই চালের দাম বেড়েছে। তাদের কিছুই করার নেই। এছাড়া পণ্য পরিবহনে ট্রাকপ্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়তি লাগছে।

Share This

COMMENTS